তালমিছরি
২০০ গ্রাম-১৩০ টাকা
খাটি তালের রস দিয়ে তালমিছরি এক সময় আমাদের দেশে প্রচলিত থাকলেও, সাদা রঙের চিনির মিছরি জনপ্রিয় হওয়াতে, মিছরি তৈরিতে চাষিরা আগ্রহ হারিয়েছেন। সেই সাথে যোগ হয়েছে, প্রতিবেশী দেশ থেকে তালমিছরির আগমন, যেটা হয়ত দেশীয় তালমিছরির তুলনায় সস্তা।
আমাদের তালমিছরি তৈরি হয়েছে, তালের রস দিয়ে এবং কোন কিছু না মেশানোতে রঙ একটু তামাটে ধরনের।
কি রয়েছে তালমিছরিতে-
মিনারেলস
ক্যালসিয়াম
পটাশিয়াম
আইরন
জিঙ্ক
ফসফরাস
ভিটামিন বি১২
এমাইনো এসিড
কিভাবে খাবেন/কেন খাবেন
সর্দি, কাশি এবং গলা ব্যাথা নিরাময়ে বহু যুগ ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে তালমিছরি। ১ চা চামচ তালমিছরি, ১ চা চামচ ঘি আর অর্ধেক চা চামচ গোলমরিচের গুঁড়া দিয়ে মিশ্রণ বানিয়ে খেয়ে দেখুন, গলা ব্যাথা সেরে যাবে।
গরমে হিট স্ট্রোক হলে- সমপরিমাণ ধনিয়া গুঁড়ার সাথে তালমিছরি গুঁড়া মিশিয়ে পানির সাথে পান করলে পেট ঠান্ডা হয়।
হজমের অসুবিধাতে পেট ব্যাথা হলে, সমপরিমাণ নিমপাতা গুঁড়ার সাথে তালমিছরি গুঁড়া মিশিয়ে খেতে পারেন, পেট ব্যাথা চলে যাবে।
সমপরিমাণ তালমিছরি আর এলাচ গুঁড়ো পানি মিশিয়ে পেস্ট করে মুখের আলসারে লাগিয়ে রাখুন, জ্বালা পোড়া কমবে।
শিশুর মস্তিস্ক বিকাশেও ভুমিকা রাখে তালমিছরির পানি।এছাড়াও বাচ্চাদের নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
সাইনাস, মোবাইল/টিভি/কম্পিউটারে এক নাগাড়ে কাজ করে চোখের উপর চাপ পড়েছে? মাথা ব্যাথা করছে? সমপরিমাণ আদার রসের সাথে তালমিছরি গুঁড়া মিশিয়ে খেয়ে দেখুন। মাথা ব্যাথা কমে যাবে।
প্রচুর পরিমানে আয়রন,পটাসিয়াম থাকার কারনে রক্তাপ্লতায় ভোগেন যারা তাদের জন্য আদর্শ তালমিছরি।
আর্থ্রাইটিস, অস্টিওপরেসিস- হাড়ক্ষয়ের রোগে নিয়মিত তালমিছরি খেলে উপকার পাওয়া যায়।
সতর্কতা-
যদিও এটা প্রাকৃতিকভাবে তৈরি, গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স (GI) এর পরিমান ৩৫% থাকে,তাও অনুরোধ থাকবে, যারা ডায়াবেটিক এর রোগী, তারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন।
Reviews
There are no reviews yet.