ভাবুন তো! সরিষার তেল ছাড়া বাঙ্গালীর চলে?
ঝুম বৃষ্টি, তেলে ভাজা এবং সাথে সরিষার তেল মাখা মুড়ি।
শীতকালের হাঁস রান্না, ডালের বড়ি দিয়ে শীতের সবজি, বা বর্ষার ইলিশ- সবকিছুতেই সরিষার তেল এনে দিবে অন্য মাত্রা।
ভর্তা তে তিল, তিসির পাশাপাশি সরিষার তেলের আবেদন চিরকালিন।
আচার কি কল্পনা করতে পারবেন দেশীয় ঝাঁজের সরিষার তেল ছাড়া?
উপকারিতা-
•মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড রয়েছে সরিষার তেলে।
•এই তেল হৃদরোগ এবং যাদের রক্তে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড বেশি তাদের জন্য বিশেষ উপকারী।
•চিকিৎসাবিজ্ঞানের আধুনিক গবেষণা বলে- প্রতি ১০০ গ্রাম সরিষার তেলে আলফা লিনোলিক এসিড (ওমেগা-৩) রয়েছে ১০ গ্রাম। আর লিনোলিক এসিড (ওমেগা-৬) ১২ গ্রাম। সরিষার তেলে ওমেগা-৩ আর ওমেগা-৬ এর অনুপাত মোটামুটি ১:১। বাস্তবে বেশি মাত্রায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের উপস্থিতির জন্য সরিষার তেল হৃদযন্ত্রের পক্ষে আদৌ ক্ষতিকর নয়।
•অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে দেশী সরিষার তেলে তাই ফাঙ্গাস রোধে সাহায্য করে। এজন্য প্রাচীনকালে স্নানের আগে/পরে সরিষার তেল মালিশের প্রচলন ছিল।
•অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ছাড়াও খাঁটি সরিষার তেলে রয়েছে ভিটামিন ই, ওমেগা আলফা ৩ ও ওমেগা আলফা ৬ ফ্যাটি এসিড।
•দাঁতের মাড়ির রোগ দূর করতে লবন ও সামান্য সরিষার তেল মিশিয়ে ব্যবহার করলে দাঁতের মাড়ি ভাল থাকে।
•নিয়মিত সরিষার তেলের মালিশে- ত্বকের বলিরেখা, ত্বকের শুষ্কতা দূর করে।
•অনান্য তেলের সাথে মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করলে, চুল কাঁচা রাখতে সাহায্য করে।
•আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে সরিষার তেলে জীবাণুরোধক হিসেবে উল্লেখ আছে। স্নানের আগে ও রাতে ঘুমানোর আগে এক ফোঁটা সরিষার তেল দুই নাকে ও নাভিতে ব্যবহার করতে পারেন। জীবানু নাকে কোনভাবে প্রবেশ করে সরিষার তেল এর ঝাঁঝের তীব্রতার কারণে জীবানু সুবিধা করতে পারবে না, তাছাড়া এটি মাথা ব্যাথা, সর্দি, নাক বন্ধ, মাইগ্রেন ইত্যাদি রোগ থেকেও প্রতিরোধ করবে।
শীতল পদ্ধতিতে তৈরি।
পরিমানে কম দরকার হয়।
Reviews
There are no reviews yet.